Maa Ki Dua Ka Asar

Book Name:Maa Ki Dua Ka Asar

কুরআন, মুবাল্লিগে দাওয়াতে ইসলামী, আমলদার আলিম এবং মুফতীয়ে দাওয়াতে ইসলামী বানিয়ে দাও, তাদেরকে উভয় জগতে সফলতা দান করো, তাদেরকে বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করাও, তাদের প্রতি সর্বদার জন্য রাজি হয়ে যাও ইত্যাদি তো আসুন! আজ আমরা নিয়্যত করি যে, নিজ নিজ পিতামাতার সেবা করতে থাকবো, তাঁদের অবাধ্যতা করা থেকে বিরত থাকবো, তাঁদের সাথে তর্ক করবো না, তাঁদের সামনে আওয়াজকে ধীরে এবং দৃষ্টিকে নিচে রাখবো, তাঁদের স্বভাব বিরোধী কথা এবং কড়া কথায় ধৈর্য ধারন করবো, তাঁদের প্রয়োজনাদী পূরণ করবো, আমাদের সামর্থ অনুযায়ী তাঁদের ভালভাবে ভরন পোষন করবো, পিতামাতার পছন্দ অপছন্দের প্রতি সজাগ থাকবো, পিতামাতার দুঃখ কষ্টে তাঁদের সহায় হবো, পিতামাতার আরামে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবো না, অসন্তুষ্ট পিতামাতাকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করবো, তাঁদের খাবার দাবার, থাকা, ঔষধ এবং অন্যান্য বিষয়ে তাঁদের সহযোগিতা করবো, তাঁদের সকল জায়িয আদেশ মান্য করবো اِنْ شَآءَ الله

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! দূর্ভাগ্যজনক ভাবে ইলমে দ্বীন থেকে দূরত্বের কারণে এমনসব মূর্খও রয়েছে, যারা পিতামাতার সন্তুষ্টিতে সন্তুষ্ট থাকার পরিবর্তে নিজের প্রবৃত্তির পেছনে লেগে পিতামাতাকে অবহেলা করে থাকে, যেমন; সন্তান যুবক হয়ে গেলো এবং কোন কারণে বিয়েতে দেরী হচ্ছে, তখন অনেক সময় অপরিপক্ক সন্তান অপরের নিকট পিতামাতার অভিযোগ করে যে, দেখুন আমার এখন বিয়ের বয়স হয়ে গেছে, এই বয়স তো যৌবনের আনন্দ ভোগ করার দিন, এখনই যদি আমাকে বিয়ে না করায় তবে কি বুড়ো বয়সে বিয়ে করাবে? আমার মাবাবার আমার কোন চিন্তা নাই, তাদেরকে কেই বা বুঝাবে!!!

    কেউবা বলে! আমি অমুক জায়গা থেকে বিয়ে করবো, আমার মাবাবা কি জানে, ব্যস আমার ইচ্ছাই চলবে, আমি যা জানি আমার মাবাবারা তা জানে না

    কেউবা বলে! আমার বন্ধুর নিকট তো দামী মোবাইল আর আমার নিকট সাধারন একটি মোবাইলও নাই, আমার কি যুগের সাথে চলার কোন অধিকারণ নাই?