Book Name:Tilawat e Quran Ki Barkatain
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! কুরআনের শিক্ষাকে প্রসার করতে শুধুমাত্র ইচ্ছাই যথেষ্ট নয় বরং আমলীভাবে কুরআনে করীমের শিক্ষাকে প্রসার করার চেষ্টাও করতে হবে, দা’ওয়াতে ইসলামী কুরআনে করীমের শিক্ষাকে প্রসার করছে, اَلْحَمْدُ لِلّٰه আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ এর প্রশিক্ষণের বরকতে দা’ওয়াতে ইসলামী, কুরআনে পাকের হিফয ও নাজারার শিক্ষাকে দেশে দেশে, শহরে শহরে, গ্রামে গ্রামে এমনকি প্রতিটি গলি মহল্লায় পৌঁছানোর জন্য সদা সচেষ্ট, আপনিও এই প্রচেষ্টায় দা’ওয়াতে ইসলামীকে সহায়তা করুন।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! সকাল সন্ধ্যা কুরআনে পাকের তিলাওয়াতকারীরা যেমন অসংখ্য প্রতিদান ও সাওয়াব পায় তেমনি এর বরকতে প্রকাশ্য ও গোপনীয় রোগবালাই থেকে শিফাও নসীব হয়ে থাকে। এক ব্যক্তি নবী করীম صَلَّی اللهُ ی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে গলা ব্যাথার অভিযোগ করলো তখন হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন: কুরআন পাঠ করা অবলম্বন করো। (শুয়াবুল ঈমান, ২/৫১৯, হাদীস: ২৫৮০) এক ব্যক্তি উপস্থিত হয়ে আরয করলো: আমার বুকে কষ্ট হচ্ছে। ইরশাদ করলেন: কুরআন পড়ো, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন: وَشِفَآءٌ لِّمَا فِی الصُّدُوْرِ (কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর অন্তরের শিফা)। (দুররে মানসুর, ৪/৩৬৬)(পারা ১১, ইউনুস, আয়াত ৫৭) বরং কুরআনে করীম তো বিভিন্ন রোগের উত্তম ঔষধ। যেমনটি প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: خَیْرُالدَّوَاءِ اَلْقُرْاٰنُ অর্থাৎ উত্তম ঔষধ হলো কুরআনে করীম। (সুনানে ইবনে মাজাহ, ৪/১১৬-১১৭, হাদীস: ৩৫০১)
হযরত আল্লামা আব্দুর রউফ মুনাবী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই হাদীসে পাকের আলোকে লিখেন: অর্থাৎ উত্তম তাবীয হলো তা, যা কোন কুরআনের আয়াতের মাধ্যমে করা হয়, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
وَ نُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْاٰنِ مَا هُوَ شِفَآءٌ وَّ رَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِیْنَۙ
(পারা ১৫, সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত ৮২)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর আমি কুরআনের মধ্যে অবতীর্ণ করি ওই বস্তু, যা ঈমানদারদের জন্য আরোগ্য ও রহমত;