Book Name:Tilawat e Quran Ki Barkatain
কুরআনে মজীদ মন, শরীর ও রুহ সবকিছুর জন্য ঔষধ স্বরূপ। যদি অন্যান্য কালামেরও বিশেষত্ব ও উপকারীতা হয়ে থাকে, তবে আল্লাহ পাকের কালাম সম্পর্কে আপনাদের কি ধারনা, যার ফযীলত অন্যান্য কালামের উপর এমন, যেমনটি আল্লাহ পাক তাঁর সৃষ্টির উপর। কুরআনে পাকে এমন কিছু আয়াত রয়েছে যা বিশেষ রোগ ও বিপদকে দূর করার জন্য, সেই আয়াতের পরিচয় বিশেষ লোকদেরই হয়ে থাকে।
(ফয়যুল কদীর, ৩/৬২৮)
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! পুরো কুরআনে করীমই রোগীদের শিফা এবং বিপদ ও কষ্টে সহায়তাকারী আর কুরআনে পাকের প্রতিটি সূরার নিজস্ব ফযীলত ও মর্যাদা রয়েছে, যা প্রাণ ও সম্পদের হিফাযত করা, দুঃখ-কষ্ট দূর করে আনন্দ ও খুশি প্রবেশ করা এবং রোগ থেকে মুক্তি প্রদানে যথেষ্ট। সুতরাং মাকতাবাতুল মদীনার কিতাব “জান্নাতি যেওর” থেকে কুরআনে পাকের কয়েকটি সূরার সংক্ষিপ্ত ফযীলত শ্রবণ করি। সূরা ফাতিহা ১০০বার পাঠ করে যে দোয়া করা হয়, তা কবুল হয়, সূরা বাকারা তিলাওয়াত করাতে শয়তান ঘর থেকে পালিয়ে যায়, আয়াতুল কুরসী পাঠ করাতে অভাব দূর হয়ে যায়, সূরা কাহাফ সর্বদা পাঠকারী দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে, পিতামাতার কবরে প্রত্যেক শুক্রবার সূরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করাতে এর হরফের সংখ্যার সমান তাদের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। সূরা দুখান পাঠ করাতে বিপদ দূর হয়ে যায়, যে মৃত্যুপথযাত্রী তার উপর সূরা জাসিয়া পাঠ করে দম করলে মৃত্যু ঈমান সহকারে হবে, সূরা হুজরাত পাঠ করা ও দম করে পানি পান করা, ঘরে কল্যাণ ও বরকতের জন্য উপকারী, সূরা ক্বাফ পাঠ করাতে বাগানে অধিকহারে ফল উৎপন্ন, সূরা আর রহমান ১১বার পাঠ করাতে সকল উদ্দেশ্য পূরণ হয়, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করবে, সে কখনো দারিদ্র হবে না। সূরা মূলক প্রতিরাতে পাঠকারী কবরের আযাব থেকে নিরাপদ থাকবে, সূরা মুযাম্মিল ১১বার পাঠ করাতে সকল বিপদ সহজ হয়ে যায়, সূরা মুদ্দাসসির পাঠ করে কুরআন হিফয করা দোয়া করলে, কুরআন করীম মুখস্ত করা সহজ হয়ে যাবে, সূরা নাযিয়াত পাঠ করাতে মৃত্যুকষ্ট হয়না, সূরা দোহা পাঠ করাতে পলাতক লোক ফিরে আসে, সূরা আলাম নাশরাহ যে সম্পদের উপর পাঠ করা হয়, তাতে অত্যধিক বরকত হবে, সূরা ত্বীন ৩বার পাঠ করাতে