Book Name:Farooq e Azam Ke Ala Ausaf
ছিলেন * সারা জীবন রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর খেদমতে অতিবাহিত করেন * ১৩ হিজরী ৬৩৪ খ্রীষ্টাব্দ অনুযায়ী অর্থাৎ ৫৩ বছর বয়স মুবারকে তিনি মুসলমানদের দ্বিতীয় খলিফা নিযুক্ত হন।
পাসে সিদ্দিকে আকবর মোস্তফা কে সব সাহাবা মে
হে বে শক সব সে উচাঁ মরতাবা ফারুকে আযম কা
* ২৪ হিজরী ৬৪৩ খ্রীষ্টাব্দ অনুযায়ী মসজিদে নববী শরীফে, ফজরের নামায পড়ানোর সময় এক অমুসলিম খঞ্জর (ছুরি) দ্বারা তাঁর উপর আক্রমন করে, যার ফলে তিনি আহত হন এবং মদীনায়ে পাকে শাহাদত বরণ করেন। হযরত সুহাইব رَضِیَ اللهُ عَنْہُ তাঁর জানাযার নামায পড়ান এবং প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর পাশ মুবারকে সমাহিত হন।
(ফারুকে আযমের কারামত, ৫-৬ পৃষ্ঠা)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
ফারুকে আযমের জন্য ক্ষমা ও মহান সাওয়াব রয়েছে
প্রিয়
ইসলামী বোনেরা! ২৬তম পারা সূরা হুজরাতের ২য় আয়াতে মুসলমানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে
যে, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ
عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর
পবিত্র দরবারে যখন কিছু আরয করবে তখন এই বিষয়ের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখবে যে, কারো আওয়াজ যেনো কোন অবস্থাতেই
প্রিয় নবী
صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর
আওয়াজ মুবারক থেকে উচুঁ না হয়, অন্যথায়
তোমাদের আমল, তোমাদের নামায, তোমাদের রোযা, তোমাদের হজ্জ নষ্ট হয়ে হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে।
হাদীসে পাকের প্রসিদ্ধ কিতাব তিরমিযীর বর্ণনায় রয়েছে, যখন এই নির্দেশ অবতীর্ণ হলো তখন হযরত আবু বকর সিদ্দিক, হযরত ওমর ফারুকে আযম এবং কয়েকজন সাহাবায়ে কিরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان নিজের উপর প্রবল সকর্তা আবশ্যক করে নিলেন, হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ তো এতো নিম্নস্বরে কথা বলতেন যে, কখনো কখনো প্রিয় নবী, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর পূনরায় জিজ্ঞাসা করতে হতো যে, কি বলছো। (তিরমিযী, ৭৫৩ পৃষ্ঠা, হাদীস ৩২৬৬) এ ব্যাপারে ইরশাদ করা হলো:
اِنَّ الَّذِیْنَ یَغُضُّوْنَ اَصْوَاتَہُمْ عِنْدَ رَسُوْلِ اللّٰہِ اُولٰٓئِکَ الَّذِیْنَ امْتَحَنَ اللّٰہُ قُلُوْبَہُمْ لِلتَّقْوٰی ؕ لَہُمْ مَّغْفِرَۃٌ وَّ اَجْرٌ عَظِیْمٌ (۳)
(পারা ২৬, সূরা হুজরাত, আয়াত ৩) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: নিশ্চয় ঐ সমস্ত লোক, যারা আপন কন্ঠস্বরকে নিচুর রাখে আল্লাহর রাসূলের নিকট, তারা হচ্ছে ঐসব লোক, যাদের অন্তরকে আল্লাহ খোদাভীরূতার জন্য পরীক্ষা করে নিয়েছেন। তাদের জন্য ক্ষমা ও মহা পুরস্কার রয়েছে।
ঐ সকল সাহাবায়ে কিরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان যাঁরা প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে নিজেদের আওয়াজ প্রশমিত রাখতেন, বিশেষকরে হযরত আবু বকর সিদ্দিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এবং