Farooq e Azam Ke Ala Ausaf

Book Name:Farooq e Azam Ke Ala Ausaf

শয়ন ও জাগরণের সুন্নাত আদব

        প্রিয় ইসলামী বোনেরা! আসুন! শায়খে তরীকত, আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ এর পুস্তিকা ১০১ মাদানী ফুলথেকে শয়ন ও জাগরণের সুন্নাত ও আদব শুনি: * শয়ন করার আগে বিছানাকে ভালভাবে ঝেড়ে নিন যাতে কোন ক্ষতিকর পোকামাকড় ইত্যাদি থাকলে বের হয়ে যায়, * শয়ন করার আগে এ দোয়াটি পড়ে নিন:

اَللّٰہُمَّ بِاسْمِكَ اَمُوْتُ وَاَحْیٰ

          অনুবাদ: হে আল্লাহ্! আমি তোমার নামে মৃত্যুবরণ করছি এবং জীবিত হবো। (অর্থাৎ শয়ন করি ও জাগ্রত হই) (বুখারী শরীফ, ৪/১৯৬, হাদীস ৬৩২৫) * আসরের পর ঘুমাবেন না স্মরণ শক্তি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছেপ্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি আসরের পর ঘুমায় আর তার বিবেক চলে যায়, তবে সে যেন নিজেকে তিরস্কার করে।(মুসনাদে আবি ইয়ালা, ৪/২৭৮, হাদীস ৪৮৯৭) * দুপুরে কায়লুলা (অর্থাৎ কিছুক্ষণ শয়ন করা) মুস্তাহাব। (আলমগিরী, ৫/৩৭৬) সদরুশ শরীয়া, হযরত আল্লামা মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ আমজাদ আলী আযমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: যথাসম্ভব এটা ঐ সমস্ত লোকদের জন্য হবে, যারা রাত জেগে ইবাদত করে, নামায আদায় করে, আল্লাহ্ পাকের যিকির করে কিংবা কিতাব পাঠ করে অথবা অধ্যয়নে ব্যস্ত থাকে কেননা, রাত জাগার কারণে যে ক্লান্তি আসে তা দূর হয়ে যাবে। (বাহারে শরীয়ত, ১৬তম অংশ, ৩/৭৯) * দিনের শুরুতে কিংবা মাগরিব ও ইশার মধ্যবর্তী সময়ে ঘুমানো মাকরূহ। (আলমগিরী, ৫/৩৭৬) * পবিত্রাবস্থায় ঘুমানো মুস্তাহাব এবং * কিছুক্ষণ ডান পার্শ্ব হয়ে ডান হাত গালের নিচে রেখে কিবলামুখী হয়ে শয়ন করুন এরপর বাম পার্শ্ব হয়ে শয়ন করুন। (প্রাগুক্ত)
* শয়ন করার সময় কবরে শয়ন করার কথা খেয়াল করুন কেননা, সেখানে একা শয়ন করতে হবে আপন আমল ব্যতীত কেউ সঙ্গী হবে না। * শয়ন করার সময় আল্লাহ পাকের যিকির, তাহলীল ও তাসবীহ পাঠ করতে থাকুন, (অর্থাৎ لَا اِلٰہَ اِلَّااللهُ ۔ سُبْحٰنَ الله ۔ اَلْحَمْدُ لِلّٰه পড়তে থাকুন) ঘুম আসা পর্যন্ত এভাবে করতে থাকুন, কেননা মানুষ যে অবস্থায় শয়ন করে ঐ অবস্থায় উঠে এবং যে অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে কিয়ামতের দিন ঐ অবস্থায় উঠবে। (প্রাগুক্ত) * জাগ্রত হওয়ার পর এ দোয়া পাঠ করুন:
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِیْ اَحْیَانَا بَعْدَ مَا اَمَاتَنَا وَاِلَیْہِ النُّشُوْرُ (বুখারী শরীফ, ৪/১৯৬, হাদীস ৬৩২৫) অনুবাদ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদেরকে মৃত্যুর পর জীবিত করেছেন এবং তারই দিকে আমাদের প্রত্যাবর্তন করতে হবে। * ঐ সময় এ বিষয়ের দৃঢ় সংকল্প করুন পরহেযগারী ও তাকওয়া অবলম্বন করবো, কারো উপর জুলুম করবো না। (ফাতাওয়ায়ে আলমগিরী, ৫/৩৭৬) * যখন বালক বা বালিকার বয়স ১০ বছর হয়ে যাবে তখন তাদেরকে আলাদা আলাদাভাবে ঘুমানোর ব্যবস্থা করা উচিত বরং এ বয়সের বালককে সমবয়সী কিংবা তার চাইতে বড় পুরুষের সাথে ঘুমাতে দিবেন না। (দুররে মুখতার, রদ্দুল মুহতার, ৯/৬২৯) * স্বামী স্ত্রী যতক্ষণ একসঙ্গে শয়ন করবে, ততক্ষণ দশ বছর বয়সী সন্তানকে নিজের সাথে রাখবে না। সন্তানের যখন উত্তেজনা শক্তি আসে, তখন সে সাবালকের হুকুমে(দুররে মুখতার, ৯/৬৩০) * ঘুম থেকে উঠে প্রথমে মিসওয়াক করুন, * রাতে ঘুম