Book Name:Ramzan Kaise Guzare
পহেলা রমযান ৪৭০ হিজরিতে জিলান শহরে হুযুর গাউসে আযম শায়খ আব্দুল কাদের জিলানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ’র সৌভাগ্যময় বিলাদত হয়। গাউসে পাকের নাম আব্দুল কাদির এবং উপনাম আবু মুহাম্মদ। মুহিউদ্দীন, মাহবুবে সুবহানি, গাউসে আযম এবং গাউসে সাকলাইন ইত্যাদি তাঁর মুবারক উপাধী। তাঁর সম্মানিত পিতার নাম হযরত আবু সালেহ মূসা জঙ্গী দোস্ত এবং সম্মানিতা আম্মাজানের নাম উম্মুল খায়ের ফাতেমা। তিনি পিতার দিক দিয়ে হাসানী এবং মায়ের দিক দিয়ে হোসাইনী সৈয়দ ছিলেন। (বাহজাতুল আসরার ওয়া মাদিনুল আনওয়ার, ১৭১-১৭২ পৃষ্ঠা) গাউসে পাকের শান এমন ছিলো যে, তিনি চল্লিশ বছর পর্যন্ত এশারের অযু দ্বারা ফজরের নামায আদায় করেছেন, তাঁর অভ্যাস ছিলো যে, যখনই অযু ভঙ্গ হয় তখন সাথে সাথেই অযু করে ২ রাকাত নফল নামায পড়ে নিতেন। (বাহজাতুল আসরার, ১৬৪ পৃষ্ঠা) তিনি ১৩টি বিষয়ের জ্ঞানের উপর বয়ান করতেন। (বাহজাতুল আসরার, ২২৫ পৃষ্ঠা)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আসুন! তারাবীর কয়েকটি মাসআলা শ্রবণ করি:
* তারাবীহ প্রত্যেক বিবেকবান ও প্রাপ্তবয়স্ক ইসলামী ভাই ও ইসলামী বোনের জন্য সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। (দুররে মুখতার, ২/৫৯৬) তা বর্জন করা (ছেড়ে দেয়া) জায়িয নেই। (বাহারে শরীয়ত, ১/৬৮৮) * তারাবীহ ২০ রাকাত। আমীরুল মুমিনিন হযরত ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہ ’র যুগ থেকে ২০ রাকাতই পড়া হতো। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকী, ২/৬৯৯, হাদীস: ৪৬১৭) * তারাবীর জামাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়া, যদি মসজিদে সবাই বর্জন করে তবে সবাই খারাপ কাজ করলো আর যদি কয়েকজন জামাতে পড়ে নেয়