Sharm o Haya Social Media Ka Ghalat Istimal

Book Name:Sharm o Haya Social Media Ka Ghalat Istimal

رَضِیَ اللهُ عَنْہُ তাঁকে বললেন: রাতেই কেন আমাকে জানালেন না? তাহলে আমিও জানাযায় অংশগ্রহন করতাম তিনি আরয করলেন: হে আমীরুল মুমিনীন! আপনার আরামের কথা ভেবে আপনাকে জানানো ভালো মনে করিনি তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বললেন: আমাকে তার কবরে নিয়ে চলুন সেখানে গিয়ে তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এই আয়াতটি পাঠ করলেন:

وَ لِمَنۡ خَافَ مَقَامَ رَبِّہٖ جَنَّتٰنِ (ۚ۴۶)

(পারা ২৭, সূরা রহমান, আয়াত ৪৬)

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: এবং যে ব্যক্তি আপন রবের সম্মুখে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করে তার জন্য দুটি জান্নাত রয়েছে

    তখন কবরের ভেতর থেকে সেই যুবকটি উচ্চ আওয়াজে বললো: হে আমীরুল মুমিনীন! নিশ্চয় আমার পালনকর্তা আমাকে দুইটি জান্নাত দান করেছেন (শরহুস সুদূর, ২১৩ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

    হে আশিকানে রাসূল! শুনলেন তো আপনারা, আল্লাহ ওয়ালারা যৌবনেও ইবাদত করা এবং অশ্লীলতা থেকে বাঁচার কিরূপ মানসিকতা ছিলো যে, যুবকাবস্থায় অধিকাংশ সময় আল্লাহ পাকের ইবাদত এবং পিতা-মাতার সেবায় অতিবাহিত করতেন, এই মহান ব্যক্তিরা শয়তানের কৌশল সম্পর্কে সর্বদা সতর্ক থাকতেন আর এই কারণেই গুনাহ থেকে বাঁচার ক্ষমতা থাকার পরও নিজের দৃষ্টিকে বাঁিচয়ে রাখতেন এবং নিজের পবিত্র স্বত্বাকে অশ্লীল কাজ দ্বারা মলিন করা থেকে বাঁিচয়ে রাখতেন মনে রাখবেন! শয়তান মুসলমানদের প্রাণঘাতি শত্রু, তার পুরোদমে চেষ্টা থাকে, যেকোন ভাবেই মুসলমান নেককার লোকেদের পথ থেকে সরিয়ে অন্যায় পাপের পথে পরিচালিত করার, যাতে সমাজ থেকে লজ্জার অস্থিত্ব বিলীন হয়ে যায় এবং নির্লজ্বতা অশ্লীলতা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে সুতরাং বুদ্ধিমানের উচিৎ যে, সেই লাজ-লজ্জার অগ্রদূত অর্থাৎ পুর্ববর্তী বুযুর্গদের رَحِمَہُمُ اللهُ السَّلَام আচঁলকে শক্তভাবে আকঁড়ে ধরা এবং অভিশপ্ত শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখা আর কখনোই শয়তানের প্ররোচনায় কর্নপাত না করা এবং অভিশপ্ত শয়তানের প্ররোচনা থেকে বাঁচার জন্য আশিকানে রাসূলের সাথে সময় অতিবাহিত করার চেষ্টা করা, যারা তাকে নফস শয়তানের প্ররোচনার প্রতি সজাগ রাখে