Book Name:Maa Ki Dua Ka Asar
দাওয়াত” এর ৩৫৯ পৃষ্ঠায় লিখেন: হযরত আল্লামা কামাল উদ্দীন দামিরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ উদ্ধৃত করেন: “যমখ্শরী”র (যিনি ছিলেন ‘মুতাযিলা’ ফেরকার একজন প্রসিদ্ধ আলিম) একটি পা কাটা ছিলো, মানুষের জিজ্ঞাসার ফলে সে ব্যক্ত করলো: এটি আমার মায়ের বদ দোয়ার ফল, কাহিনীটি ছিলো এরূপ: আমি ছোট বেলায় একটি চড়ুই পাখি ধরেছিলাম এবং এর পায়ে একটি রশি বেঁধে দিলাম, হঠাৎ পাখিটি আমার হাতছাড়া হয়ে উড়তে উড়তে একটি দেওয়ালের ফাঁকে আশ্রয় নিলো, কিন্তু রশিটি দেওয়ালের বাইরে ঝুলছিলো, আমি রশিটি ধরে নির্দয়ভাবে টান দিলাম, চড়ুই পাখিটি ব্যথায় কাতর অবস্থায় বের হয়ে এলো কিন্তু পাখিটির পা রশিতে কেঁটে গিয়েছিলো। আমার মা এই দুঃখজনক দৃশ্যটি দেখে দুঃখে কাতরিয়ে উঠলো এবং তাঁর মুখ দিয়ে আমার জন্য এই বদদোয়া বের হয়ে গেলো: যেভাবে তুমি এই নির্বাক প্রাণিটির পা কেটেছো, আল্লাহ পাক তোমার পা কেটে দিক। বদদোয়ার ফল প্রকাশ পেয়ে গেলো, কিছুদিন পর জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্যে আমি “বোখারা” সফর করি, পথিমধ্যে আমি বাহন থেকে পড়ে যাই, পায়ে বেশ আঘাত পেলাম, “বোখারা” পৌঁছে অনেক চিকিৎসা করি, কিন্তু আমার কষ্ট লাঘব হলো না, অবশেষে পা কেটে ফেলতে হলো। (আর এভাবে মায়ের বদদোয়া বাস্তবায়িত হলো) (হায়াতুল হাইওয়ানুল কুবরা, ২/১৬৩)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! বর্ণনাকৃত ঘটনায় যেমনিভাবে পশুপাখি এবং পিতামাতাকে কষ্ট প্রদানকারীদের জন্য শিক্ষার মাদানী ফুল রয়েছে, তেমনি পিতামাতার জন্যও ভাবার বিষয় রয়েছে, বিশেষকরে ঐসকল মা, যারা কথায় কথায় নিজের সন্তানদের এরূপ বলে যে, তুমি ধ্বংস হও, তুমি দূর হয়ে যাও, তোমার গায়ে কুষ্ঠরোগ পরুক ইত্যাদি বদদোয়া করে থাকে, তাঁদেরকে নিজের মুখকে আয়ত্বে রাখা উচিৎ, এমন যেনো না হয় যে, কবুলিয়্যতের সময় আর দোয়া কবুল হয়ে গেলো এবং সন্তানের সত্যি সত্যি কিছু হয়ে গেলো, এভাবে মা স্বয়ং চিন্তায় (Tension) পড়ে যায়! সুতরাং সন্তানদের সর্বদা কল্যাণের দোয়া দ্বারা ধন্য করাই শ্রেয়। আল্লাহ পাক আমাদেরকে আপন পিতামাতাকে খুশি রাখার এবং সর্বদা তাঁদের দোয়া অর্জনের তৌফিক দান করুন। اٰمِـيـن بِجا هِ النَّبِىِّ الْاَمِيْن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم