Book Name:Sadqat K Fazail
وَ اَنۡفِقُوۡا مِنۡ مَّا رَزَقۡنٰکُمۡ مِّنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَ اَحَدَکُمُ الۡمَوۡتُ فَیَقُوۡلَ رَبِّ لَوۡ لَاۤ اَخَّرۡتَنِیۡۤ اِلٰۤی اَجَلٍ قَرِیۡبٍ ۙ فَاَصَّدَّقَ وَ اَکُنۡ مِّنَ الصّٰلِحِیۡنَ (۱۰) وَ لَنۡ یُّؤَخِّرَ اللّٰہُ نَفۡسًا اِذَا جَآءَ اَجَلُہَا ؕ
(৪র্থ পারা, সূরা আলে ইমরান, আয়াত ৯২)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর আমার প্রদত্ত (রিযিক) থেকে কিছু আমার পথে ব্যয় করো এর পূর্বে যে, তোমাদের মধ্যে কারো নিকট মৃত্যু এসে পড়বে। অতঃপর বলতে থাকবে, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে কিছু সময়ের জন্য কেন অবকাশ দিলে না? যাতে আমি দান সদকা করতাম এবং সৎকর্ম পরায়ণদের অন্তর্ভূক্ত হতাম! এবং কখনো আল্লাহ কোন প্রাণকে অবকাশ দেবেন না যখন তার প্রতিশ্রুতি (নির্ধারিত সময়) এসে পড়বে।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এতে কোন সন্দেহ নেই যে, মানুষের নিজস্ব সম্পদ যা আসলে তার আখিরাতে কাজে আসবে, তাকে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি ও খুশি অর্জন করিয়ে দিবে এবং তাই দোযখের আগুন থেকে বাঁচাবে, যা সে সদকা ও খয়রাত আকারে নেক কাজে ব্যয় করে দিয়েছে। যাহোক ঐ সম্পদ, যা তার নিকট বিদ্যমান এবং সে তা নিজের সম্পদই মনে করে, তাতো তার নয়ই, আসলে তো সে সম্পদ তার ওয়ারিশদের।
হযরত সায়্যিদুনা হারিস বিন সুয়াইদ رَضِیَ
اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত, নবীয়ে রহমত, শফীয়ে উম্মত صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: اَيُّكُمْ
مَالُ وَارِثِهٖ اَحَبُّ اِلَــيْهِ مِنْ مَالِهٖ তোমাদের মধ্যে কার নিজের সম্পদের চেয়ে বেশি ওয়ারিশদের সম্পদ পছন্দ? সাহাবায়ে কিরাম عَلَیْہِمُ
الرِّضْوَان আরয করলেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! مَا مِنَّا اَحَدٌ اِلَّا
مَالُـهُ اَحَبُّ اِلَـيْهِ আমাদের মধ্যে সবারই নিজের সম্পদই বেশি পছন্দ। তিনি صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন:
فَاِنَّ مَالَــهُ مَا قَـدَّمَ وَمَالَ وَارِثِهٖ مَا اَخَّرَ
মানুষের নিজস্ব সম্পদ তো তা, যা সে পূর্বেই প্রেরণ করে দিয়েছে (অর্থাৎ আল্লাহ পাকের পথে ব্যয় করে দিয়েছে) এবং যা সে পরবর্তীতে (দুনিয়ায়) রেখে গিয়েছে, তা তার ওয়ারিশদের সম্পদ।
(সহীহ বুখারী, কিতাবুর রিকাক, ৫৩১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-৬৪৪২)
হাদীসে মোবারাকা সমূহে সদকার অসংখ্য ফযীলত বর্ণিত হয়েছে, আসুন! এসম্পর্কে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর আটটি বাণী শ্রবণ করি।