Ghous e Pak Ka Ilmi Maqam

Book Name:Ghous e Pak Ka Ilmi Maqam

যে, এর জন্য তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ শুধু ঘর বাড়ি ছেড়ে দূর দুরান্তে সফর করেননি বরং আপন মমতাময়ী মায়ের বিচ্ছেদও সহ্য করেছেন তাঁর আম্মাজান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہَا এর কোরবানীর প্রতিও শত কোটি মারহাবা! না শুধু নিজের কলিজার টুকরোর বিচ্ছেদকে সহ্য করে তাঁকে ইলমে দ্বীন অর্জনের জন্য অনুমতি প্রদান করলেন বরং নিজের শাহজাদাকে ইলমে দ্বীন অর্জন এবং ইলমের খেদমত করার জন্য এমনভাবে ওয়াকফ করেন যে, সফরের জন্য বিদায়ের সময় প্রকাশ্যভাবে বলে দিলেন: يَا وَلَدِىْ اِذْهَبْ فَقَدْ خَرَجْتُ عَنْكَ لِلّٰهِ فَهٰذَا وَجْهٌ لَااَرَاهُ اِلٰى يَوْمِ الْقِيَامَةِ অর্থাৎ হে আমার প্রিয় সন্তান, যাও! আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আমি তোমাকে আমার থেকে পৃথক করছি এবং তোমার চেহারা আমার কিয়ামতের দিনই দেখা নসীব হবে

    গাউসে পাক, শাহানশাহে বাগদাদ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর শ্রদ্ধেয়া আম্মাজান গাউসে পাককে না শুধু সফর করার অনুমতি দিয়েছেন বরং খরচাও দিয়েছেন এখানে সেই আশিকানে রাসূল এবং আশিকানে হাউসে আযম গণ একবার ভাবুন তো, দুনিয়াবী শিক্ষা এবং ব্যবসার জন্য তো সন্তানকে ধন সম্পদ দেন, কিন্তু দ্বীনি শিক্ষার বেলায় তাদের কোন সাহায্যই করে না

    এই ঘটনা থেকে এটাও জানতে পারলাম যে, হুযুর গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ সত্যবাদীতার কিরূপ অনুসারী ছিলেন যে, তিনি তাঁর বয়সে কখনো মিথ্যার আশ্রয় নেননি, নিজের সকল কর্মকান্ডের ভিত্তি সত্যবাদীতা এবং বিশ্বস্ততার উপর রাখেন, যার একটি বড় কারণ হচ্ছে তাঁর নেক চরিত্রবান আম্মাজান হযরত সায়িদাতুনা উম্মুল খায়ের ফাতেমা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہَا এর উত্তম শিক্ষা যেমনটি আমরা শুনলাম যে, তাঁর শ্রদ্ধেয়া আম্মাজান
رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہَا তাঁকে সর্বদা সত্যকে প্রতিষ্ঠা করার ওয়াদা নিয়েছিলেন, সুতরাং আমাদেরও উচিৎ যে, সন্তানকে ইসলামী শিক্ষা দেয়া, নিজেও সর্বদা সত্য বলা এবং তাদেরও শৈশব থেকেই সত্য বলার শিক্ষা দেয়া

    আমাদের প্রিয় আক্বা, মাক্কী মাদানী মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم মিথ্যা থেকে বাঁচার এবং সত্যবাদীতার পথ অবলম্বন করার প্রতি জোড় দিতে গিয়ে ইরশাদ করেন: সত্যবাদীতাকে আবশ্যক করে নাও, কেননা সত্যবাদীতা নেকীর দিকে নিয়ে যায় এবং নেকী