Ghous e Pak Ka Ilmi Maqam

Book Name:Ghous e Pak Ka Ilmi Maqam

    ইমাম আবু ইয়ালা নাজিমুদ্দিন رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: হযরত শায়খ আব্দুল কাদের জিলানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ইরাকে ফতোয়ার বিষয়ে অনেক প্রসিদ্ধ ছিলেন এবং লোকেরা ফতোয়ার জন্য তাঁর উপরই নির্ভর করতো (বাহজাতুল আসরার, পৃষ্ঠা-২২৫)

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই ঘটনা থেকে হুযুর গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর তীক্ষ্ণ মেধাশক্তি এবং জ্ঞানের দক্ষতার অনুমান করা যায়, যিনি ওলামায়ে কিরামদেরও رَحِمَہُمُ الله আশ্চার্য করে দিতেন, এখানে একটি শরয়ী মাসআলার প্রতিও মনযোগ আকর্ষন করছি যে, দূর্ভাগ্যজনক ভাবে আমাদের সমাজে তালাকের বিষয়ে খুবই ভূল পদ্ধতির প্রচলন শুরু হয়ে গেছে আর তা হলো যে, যদি আল্লাহ না করুক তালাক দেয়ার পর্যায় চলে আসে তবে একসাথে তিন তালাক দিয়ে দেয়া হয়, অথচ এটা ভূল পদ্ধতি, একত্রে তিন তালাক দেয়া নাজায়িয গুনাহ এপ্রসঙ্গে দারূল ইফতা আহলে সুন্নাতের পক্ষ থেকে তালাক সম্পর্কে প্রকাশিত একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকার অধ্যয়ন খুবই উপকারী, এই নির্দেশিকা দাওয়াতে ইসলামীর ওয়েব সাইট থেকেও পড়তে পারবেন

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমরা হুযুর গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর জ্ঞানের উৎকর্ষতা এবং ফযিলত সম্পর্কে শ্রবণ করছিলাম, তাঁর ইলমী ব্যস্ততা দ্বারা স্পষ্ট জানা যায় যে, তিনি তাঁর জীবনকে জ্ঞানার্জন এবং তা প্রসারের কাজে বিলিয়ে দেন, সুতরাং আমাদেরও উচিৎ হুযুর গাউসে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর মিশনকে অনুসরণ করে অন্তরে ইলমে দ্বীন অর্জনের আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং এর মাধ্যমে নিজের এবং সারা দুনিয়ার মানুষের সংশোধনের চেষ্ট করা মনে রাখবেন! ইলমে দ্বীন মানুষকে সমাজে উত্তম ব্যক্তি বানিয়ে দেয়, ইলমে দ্বীনের কারনেই আল্লাহ পাকের সকল সৃষ্টি এই ব্যক্তিকে ভালবাসতে শুরু করে, ইলমে দ্বীনের কারণেই মানুষের সম্মান আভিজাত্য অর্জিত হয় এবং ইলমে দ্বীনের কারণেই মানুষ তাকওয়া পরহেজগারী অবলম্বন করে, আমাদের প্রিয় আক্বা, মক্কী মাদানী মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم অসংখ্যবারই ইলমে দ্বীনের ফযিলত বর্ণনা করতে গিয়ে নিজের গোলামদের ইলমে দ্বীন অর্জন করার উৎসাহ দিয়েছেন আসুন! এপ্রসঙ্গে নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর চারটি বাণী শ্রবণ করি: