Book Name:Ramzan Kaise Guzare
প্রশস্তের মাস” বলেও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন: প্রতিটি মাসে নির্দিষ্ট তারিখ এবং তারিখের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ে ইবাদত থাকে, যেমন; ঈদুল আযহার কয়েক (বিশেষ) তারিখে হজ্জ, মুহররমের দশ তারিখ উত্তম, কিন্তু রমযানের প্রতিটি দিন ও প্রতিটি মুহুর্তেই ইবাদত হয়ে থাকে। রোযা ইবাদত, ইফতার ইবাদত, ইফতারের পর তারাবীর জন্য অপেক্ষা করা ইবাদত, তারাবী পড়ে সাহরীর অপেক্ষায় ঘুমানো ইবাদত, অতঃপর সাহরী খাওয়া ইবাদত মোটকথা প্রতিটি মুহুর্তেই আল্লাহ পাকের শান পরিলক্ষিত হয়। (তাফসীরে নঈমী, ২য় পারা, সূরা বাকারা, ১৮৫ আয়াতের পাদটিকা, ২/২০৮) এই মুবারক মাসে রোযা রাখা ব্যক্তিদের দোয়ার মধ্যে ফেরেশতাগণ আমিন বলে থাকে এবং মাছেরা রোযাদারগণের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকে। (আত তারগীব ওয়াত তারহীব, ২/৫৫, হাদীস: ৬)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! খুশি হয়ে যান! আন্দোলিত হয়ে উঠুন, ইবাদত, তিলাওয়াত, নফল, যিকির ও আযকার এবং অন্যান্য নেকীর জন্য প্রস্তুত হয়ে যান আর আল্লাহ পাকের কৃতজ্ঞতা আদায় করুন যে, একবার আবারো আমাদের রমযান মাস নসীব হচ্ছে, এই মুবারক মাসের গুরুত্ব ও ফযীলতের অনুমান এই বিষয় থেকেও করা যেতে পারে যে, আমাদের প্রিয় নবী, মক্কী মাদানী মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এই মুবারক মাসের আগমনের পূর্বেই নিজের সাহাবাগণের عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان সামনে এর ফযীলত বর্ণনা করেন এবং এভাবে এই মাসে ইবাদত করার উৎসাহ প্রদান করেন।
হযরত সালমান ফারসী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم শাবান মাসের শেষ দিনে আমাদের খুতবা ইরশাদ করেন: হে লোকেরা! তোমাদের মাঝে মহত্বপূর্ণ ও বরকতময় মাস আগমন