Book Name:Faizan e Imam Shafi
বলেন: যে বক্তির মধ্যে তিনটি গুণ একত্রিত হয়ে যাবে, তার ঈমান পরিপূর্ণ হয়ে যাবে: (১) যে নেকীর নির্দেশ দিলো এবং নিজেও সেটার উপর আমল করলো (২) : যে মন্দ থেকে নিষেধ করে আর নিজেও তা থেকে বিরত থাকে (৩) যে আল্লাহ পাকের সীমা রক্ষা করবে।
অতঃপর বললেন: দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও আখিরাতের প্রত্যাশি হয়ে যাও! নিজের প্রতিটি কাজে আল্লাহ পাকের সাথে সত্যের আপোষ করো! যদি এমন করো তাহলে মুক্তি প্রাপ্তদের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাবে।
(ইহ্য়াউল উলুমদ্দীন, ১ম খন্ড, ৪১ পৃষ্ঠা)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এগুলো কতইনা সুন্দর শিক্ষনীয় নসিহত, আল্লাহ পাক আমাদের এসব নসিহতের উপর আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
এই ঈমান সতেজকারী ঘটনা থেকে ইমাম শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর এই দিকটা প্রকাশ পায় যে, ইমাম শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ নেকীর দাওয়াত দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক আগ্রহী ছিলেন, দেখুন! তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এক ব্যক্তিকে অযুতে ভূল করতে দেখলেন, তিনি আসলে তাকে শিখানোর জন্য আসেন্নি, কেবল সেদিক দিয়ে অতিক্রম করে যাচ্ছিলেন, তারপরও তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ সেই ব্যক্তিকে সঠিক প্রদ্ধতিতে অযু করার উৎসাহ দিলেন, বুঝা গেলো, যে মুবাল্লিগ হয়, সেই প্রতিটি স্থানে প্রতিটি অবস্থায় মুবাল্লিগই হয়ে থাকে। নেকীর দাওয়াত ব্যাপক করার জন্য এটা প্রয়োজন নেই যে, আমরা এলাকায়ে দাওরাতেই নেকীর দাওয়াত দিবো, যখন মাদানী কাফেলাতে সফর হবে তখনই নেকীর দাওয়াত দিবো বরং আমাদের উচিত যে, যখন যেখানে যে স্থানে মন্দ দেখবো হিকমত সহকারে উত্তম প্রন্থার বহিঃপ্রকাশ করে নম্রভাবে নেকীর