Book Name:Imam Malik Ki Seerat
তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ নামাযে দাঁড়াতেন তখন এরূপ লাগতো যেনো কোন শুকনো কাঠ। যখন তাঁকে চাবুক মারার শাস্তি দেয়া হলো তখন তাঁকে বলা হলো: সংক্ষিপ্ত ভাবে নামায পড়ে নিন, বললেন: বান্দার উচিৎ যে, সে আল্লাহ পাকের জন্য যাই আমল করবে, যেনো ভালভাবে করে। (২৯ পারার সূরা মূলকের ২ নং আয়াতে) আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
لِیَبۡلُوَکُمۡ اَیُّکُمۡ اَحۡسَنُ عَمَلًا ؕ
(পারা ২৯, সূরা মুলক, আয়াত ২)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: যাতে তোমাদের পরীক্ষা হয়ে যায়- তোমাদের মধ্যে কার কর্ম অধিক উত্তম।
হযরত ইবনে ওয়াহাব رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বর্ণনা করেন: আমি হযরত ইমাম মালিক বিন আনাস رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর বেশি খোদাভীরু এবং পরহেযগার দেখিনি। * ইবনে কাসিম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমাকে হযরত ইমাম মালিক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর খাদিম বলেছেন যে, হযরত ইমাম মালিক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ৪০ বছর যাবৎ প্রায় ইশার অযু দিয়ে ফজরের নামায আদায় করেন। * ইবনে ওয়াহাব رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: হযরত ইমাম মালিক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ দিন এবং রাতে নফল ইবাদত প্রায় একা একা করতেন যাতে কেউ না দেখে। (তাকরিবিল মাদারিক ওয়াত তাকরিবিল মাসালিক, ১/৯২) * আল্লামা শুয়াইব হারিফিশ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: হযরত ইমাম মালিক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ সেহেরীর সময় অধিকহারে নামায, আল্লাহর যিকির এবং অযীফা পাঠ করতেন, অতঃপর দরস ও পাঠদানে লিপ্ত হয়ে যেতেন। (হিকায়াতেঁ অউর নসীহতেঁ, ৪২১ পৃষ্ঠা)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
হে আশিকানে আউলিয়া! আপনারা শুনলেন যে, হযরত ইমাম মালিক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কতবড় ইবাদত পরায়ণ ছিলেন, যিনি রাতদিন কুরআন তিলাওয়াত ও নফল ইবাদতে লিপ্ত থাকতেন, তাঁর ইবাদতের পদ্ধতিও খুবই অনন্য ছিলো যে, নফল ইবাদত সর্বদা একা করতেন যাতে লোকেরা তাঁকে ইবাদত পরায়ন মনে না করে। কিন্তু আহ! ইবাদতের ব্যাপারে আমাদের আচরণ খুবই উদাসিনতা সম্পন্ন। আমরা অন্যের উদাসিনতাটুকু তো নোট করি কিন্তু নিজের দ্বায়িত্বের (Accountability) প্রতি দৃষ্টি দিইনা। যেমন; আমরা চিন্তা করি, আমরা কি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামায পড়ি? যদি পড়ি তবে তবে কি