Book Name:Nafarmani Ka Anjam
(অর্থাৎ পূর্ববর্তী উম্মতরা নাফরমানী করতো আর তাদেরকে যমিনে ধ্বসিয়ে দেয়া হতো, তাদের চেহারা বিকৃত হয়ে যেতো, কেউ বানর হয়ে যেতো, কেউ শূকর হয়ে যেতো) কিন্তু এই উম্মতের শাস্তি হলো আধ্যাত্মিক ব্যাধি ও বিকৃতি, পূর্বে চেহারা পরিবর্তন হতো, এখন অন্তর পরিবর্তন করে দেয়া হয়। (তাফসীরে নঈমী, পারা: ১, সূরা বাকারা, ৬৬ আয়াতের পাদটীকা, ১/ ৪৫৪) আল্লাহ পাক কুরআনে করীমে ইরশাদ করেন:
وَ نُقَلِّبُ اَفۡـِٕدَتَہُمۡ وَ اَبۡصَارَہُمۡ
(পারা: ৭, সূরা আনআম, আয়াত: ১১০)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর আমরা ফিরিয়ে দিচ্ছি তাদের অন্তরসমূহ ও নয়নসমূহকে।
আল্লাহ পাকের নিকট আশ্রয় প্রাথনা করছি! আল্লাহ পাকের নিকট আশ্রয়! কেমন শিক্ষনীয় বিষয়, গুনাহ করার দ্বারা, আল্লাহ ও রাসূলের অবাধ্যতার কারণে অন্তর পরিবর্তন করে দেয়া হয়।
অন্তর পবিবর্তন হওয়ার ৩টি আলামত
হাকীমুল উম্মত মুফতি আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই আয়াত বর্ণনা করে বলেন: অন্তর পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার ৩টি আলামত: (১) আনুগত্যের মধ্যে স্বাদ না পাওয়া (২) গুনাহকে ভয় না করা (৩) কারো মৃত্যু থেকে শিক্ষা গ্রহণ না করা।
(তাফসীরে নঈমী, পারা: ১, সূরা বাকারা, ৬৬ নং আয়াতের পাদটীকা, ১/ ৪৫৪)
এই তিনটি আলামত সামনে রেখে আমরা আমাদের অন্তরের অবস্থার উপর একটু চিন্তাভাবনা করি, আজ আমাদের অবস্থা কিছুটা এরকমই * গুনাহের মধ্যে এমন স্বাদ পায় যে, ঘন্টার পর ঘন্টা চলে যায়, অনূভব পর্যন্ত হয় না * হ্যাঁ! নামাযে আমাদের মন বসে না * অহেতুক কাজে লিপ্ত হয় তখন সময়ের চিন্তাই করি না * তিলাওয়াত করতে বসে যায় তো এদিক