Book Name:Jannat ke Qeemat
মনে রাখবেন! মুসলমানের মাঝে ঐ মীমাংসাটা করা ও করানো জায়েয, যা শরীয়াতের আওতাধীন থাকবে। অন্যথায় এমন আপোষ যা হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল করে দেয় তা জায়েয নেই, যেমনি ভাবে হযরত আবু হুরাইরা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত: রাসূলে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: মুসলমানের মাঝে মীমাংসা করা জায়েয কিন্তু ঐ মীমাংসা (জায়েয নয়) যা হারামকে হালাল ও হালালকে হারাম করে দেয়। (আবু দাউদ, ৩/ ৩২৫, হাদীস: ৩৫৯৩)
আসুন! এধরণের কিছু উদাহরণ শ্রবণ করি: যেমন স্বামী-স্ত্রীর মাঝে এভাবে মীমাংসা করানো হয় স্বামী এই মহিলার সতীনের কাছে যাবে না। এমন আপোষ করানো ঠিক নয়। ঋণ গ্রস্থ মুসলমান তার পাওনাদারকে সুদ পরিশোধ করবে (এমন আপোষ করা ঠিক নয়) (মিরআতুল মানাজিহ, ৪/ ৩০৩) অনুরূপভাবে স্ত্রীকে ৩ তালাক দেয়ার পর স্বামী ও স্ত্রীকে এটা বলা যে, আরে কোন সমস্যা নেই, তোমাদের মাঝে যে ভুল হয়েছে আল্লাহ পাক ক্ষমা করে দিবেন, এজন্য তোমরা এখন নিজেদের মাঝে আপোষ করে নাও, অথচ ৩ তালাক দেয়ার পর স্ত্রী নিজ স্বামীর জন্য হারাম হয়ে গিয়েছে আর কেবল মীমাংসা করে দেয়া এটা হারাম। যদি ঋণগ্রহীতা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে না পারে, তাহলে ঋণ গ্রহীতা অতিরিক্ত সময়ের জন্য জরিমানা আদায় করে, এমন মীমাংসা করা ঠিক নয়। কারো কাছ থেকে এই বিষয়ের প্রতি মীমাংসা করা যাতে সেই তার আপন ভাই বা বোন থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে নেয়, এমন মীমাংসা ঠিক নয়। নিজের বন্ধুকে অপারগ করা যে, আমার সাথে মীমাংসা করতে চাইলে অমুক সিনেমা বা গান শুনা কিংবা দেখতে হবে, এমন মীমাংসা করানো সঠিক নয়।
প্রিয়
ইসলামী ভাইয়েরা! এ উদাহরণ থেকে জানা গেলো! মীমাংসা ব্যক্তিগত
অধিকারে হয়ে থাকে, শরীয়াত
বিরোধী কাজে মীমাংসা জায়েয নেই। আল্লাহ পাক ও নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
এর অবাধ্যতায় না কোন সৃষ্টিকুলের আনুগত্য আছে,
আর না মুদাহানাত (অর্থাৎ দ্বীনের ব্যাপারে সাহসিকতার) অনুমতি
রয়েছে। মুসলিম শরীফের হাদীসে রয়েছে: