Book Name:Siddique Akbar Ka Kirdar o Farameen
মিল্লাত, মাওলানা ইমাম আহমদ রযা খাঁন رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ও “খুতবায়ে রযবীয়া”য় অন্তর্ভূক্ত করেছেন। সেই দোয়াটি হলো: اَلـلّٰـہُـمَّ انْـصُـرْ مَـنْ نَّـصَـرَ دِيْـنَ سَـيِّـدِنَـا مَـوْلٰـنَـا مُـحَـمَّـد অর্থাৎ হে আল্লাহ পাক! যে আমাদের আক্বা ও মাওলা মুহাম্মদে মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم’র দ্বীনের সাহায্য করবে তুমিও তার সাহায্য করো।
سُبْحَانَ الله নেকীর দাওয়াত প্রদানকারী, মাদানী কাফেলায় সফরকারী, দরস ও বয়ানকারী, একক প্রচেষ্টাকারী, আশিকানে রাসূলের কল্যাণ কামনাকারী, মাদানী কাফেলায় গরীব মুসাফিরদের সাহায্যকারী এবং যেকোন উপায়ে দ্বীনে মুস্তফার সাহায্যকারীদের অভিনন্দন। কেননা, তাদের জন্য জুমার খুতবায় দোয়া করা হচ্ছে। হে দ্বীনে মুস্তফার সাহায্যকারী! নিঃসন্দেহে রব্বে যুল জালালের সাহায্য যার থাকবে, তার তো উভয় জগতে তরী পার হয়ে যাবে। আল্লাহ পাকের সাহায্যে বড় বড় বিপদও দূরীভূত হয়ে যাবে এবং আমরা তা জানবোও না। খুতবার দোয়ার পর আরো কিছু রয়েছে, এবং তা হলো: وَخْذُلْ مَنْ خَذَلَ دِيْنَ سَيِّدِنَا مَوْلٰنَا مُحَمَّد অর্থাৎ হে আল্লাহ পাক! যে আমাদের আক্বা ও মাওলা মুহাম্মদে মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দ্বীনের সাহায্য করবেনা, তুমিও তাকে সাহায্য করোনা।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আতঙ্কীত হওয়ার বিষয়! আল্লাহ পাক যাকে সাহায্য করবে না, নিঃসন্দেহে সে বড়ই হতভাগা। আমাদের সকলেরই ভাবা উচিৎ যে, সে কি নিজের জন্য দোয়া নিচ্ছে, নাকি বদদোয়া! সে সকল কাজই দ্বীনে মুস্তফার সাহায্য, যার দ্বারা ইসলামের বটবৃক্ষ ফলে-ফুলে বৃদ্ধি পায়, কাফেররা ইসলাম গ্রহণ করে ও বিগড়ে যাওয়া মুসলমানদের সংশোধনের ব্যবস্থা হয়। ব্যস! নেকীর দাওয়াতের সাড়া জাগিয়ে দিন, মাদানী কাফেলায় সুন্নাতে ভরা সফর করুন, নিজে সুন্নাত শিখুন ও অন্যকে শেখান আর এভাবেই দ্বীনে মুস্তফার বেশি বেশি সাহায্য করে আল্লাহ পাকের সাহায্যের সুসংবাদ গ্রহণ করুন, যা তিনি স্বয়ং ওয়াদা করেছেন। সুতরাং “খাযাইনুল ইরফান সম্বলিত কানযুল ঈমান” এর ৯৩২ পৃষ্ঠায় পারা ২৬, সূরা মুহাম্মদ এর ৭ নং আয়াতে পবিত্র ইরশাদ হচ্ছে:
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنۡ تَنۡصُرُوا اللّٰہَ یَنۡصُرۡکُمۡ وَ یُثَبِّتۡ اَقۡدَامَکُمۡ (۷)
(পারা ২৬, সূরা মুহাম্মদ, আয়াত: ৭)