Book Name:Hazrat Talha Bin Ubaid Ullah
হযরত তালহা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ
একদিন এক লাখ দিরহাম আল্লাহর রাস্তায় সদকা করলেন এবং সেই দিন তিনি رَضِیَ
اللهُ عَنْہُ নামাযের জন্য মসজিদে যেতে পারলেন না, কেননা তাঁর
رَضِیَ اللهُ عَنْہُ পোষাক এমন ছিলো না, যেটা পরিধান করে মসজিদে যেতে পারবেন। (মওছুআ লিইবনিদ দুনিয়া, হাদীস: ৯৭, ৭ খন্ড, ৪২৪ পৃষ্ঠা)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! হযরত তালহা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর আত্মত্যাগের আগ্রহও উওম ছিলো যে, তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ তাঁর সকল প্রকার আরাম আয়েশ অপর মুসলমানের জন্য উৎসর্গ করে দিয়েছেন। তিনি খুব ভালোভাবে জানতেন যে, ইসলাম আমাদেরকে সহানুভূতির বার্তা দেয়, একারণে তিনি মঙ্গলকামী হয়ে নিজ সত্তার উপর অন্য মুসলমানদের প্রাধান্য দিলেন।
শায়খে তরীকত আমীরে আহলে সুন্নাত, হযরত মওলানা মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ এর প্রসিদ্ধ কিতাব “ফয়যানে সুন্নাত” এর মধ্যে নিজের উপর অন্যকে প্রাধান্য দেয়ার ব্যাপারে একটি খুব চমৎকার ঘটনা বর্ননা করেন।
হযরত দাতা গঞ্জেবখশ আলী হাজবেরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমি শায়খ আহমদ হাম্মাদী সারখাসী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর কাছ থেকে তাঁর তাওবার কারণ জিজ্ঞাসা করলাম: তখন বলতে লাগলেন: একবার আমি আমার উটগুলো নিয়ে “সরখস” থেকে রওয়ানা হলাম। সফরের সময় জঙ্গলে একটি ক্ষুধার্ত বাঘ আমার একটি উটকে আক্রমন করে ফেলে দিলো এবং অতঃপর পাহাড়ের চূড়াই উঠে গর্জন করতে লাগলো, সেটার আওয়াজ শুনতেই অনেক জন্তু একত্রিত হয়ে গেলো। বাঘ নিচে নামলো এবং সে ঐ আঘাত প্রাপ্ত উটকে ক্ষত বিক্ষত করলো কিন্তু নিজে কিছু ভক্ষণ করলো না বরং দ্বিতীয়বার চূড়াই উটে বসলো, আগত জন্তুগুলো উটের উপর ঝাপিয়ে পড়লো এবং খেয়ে চলে গেলো, অবশিষ্ট মাংস খাওয়ার জন্য বাঘ নিকটে আসলো তখন দূর থেকে একটি খোঁড়া শিয়াল আসতে দেখা গেলো, তখন বাঘ নিজ স্থানে ফিরে গেলো, শিয়াল প্রয়োজন মত খেয়ে যখন চলে গেলো তখন বাঘ সেই মাংস থেকে সামান্য খেয়ে নিলো।
আমি দূর থেকে এসব দেখতে লাগলাম, হঠাৎ বাঘ আমার দিকে তাকালো আর স্পষ্ট ভাষায় বললো: আহমদ! এক লোকমার ইসার (আত্মত্যাগ) তো কুকুরের কাজ,বীরপুরুষ তো সত্যের পথে নিজের প্রাণও উৎসর্গ করে দেয়।