Book Name:Kamyab Tajir Kay Ausaf
রাখতে পারতো না। এমন কি তারা সেটা আদায় করে নিতেন। (বুখারী, কিতাবুল বুযু, ওয়া ইজা রআও তিজারা, ২/৯) সাহাবায়ে কিরামগণের عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان এই ধরনের আমলকে বর্ণনা করে আল্লাহ পাক তার পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন:
رِجَالٌ ۙ لَّا تُلۡہِیۡہِمۡ تِجَارَۃٌ وَّ لَا بَیۡعٌ عَنۡ ذِکۡرِ اللّٰہِ وَ اِقَامِ الصَّلٰوۃِوَ اِیۡتَآءِ الزَّکٰوۃِ ۪ۙ
(পারা- ১৮, সূরা- নূর, আয়াত- ৩৭)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: ঐ সব লোক যাদেরকে অমনোযোগী করে না কোন ব্যবসা বাণিজ্য না বেঁচা কেনা আল্লাহর স্মরন থেকে এবং নামায কায়েম রাখা ও যাকাত প্রদান করা থেকে।
হযরত ইবনে মাসউদ رَضِیَ اللہُ عَنْہ দেখলেন যে, বাজারের লোকেরা আযান শুনা মাত্রই ব্যবসায়িক সরঞ্জামাদি ছেড়ে দিলো আর নামাযের জন্য উঠে দাঁড়িয়ে গেলো। এতে তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বললেন: এই ধরনের লোকদের ব্যাপারে আল্লাহ পাক এ আয়াত “رِجَالٌ لَّا تُلْہِیْہِمْ” অবতীর্ণ করেছেন।
(মুজামুল কবীর, ৯/২২২, হাদীস- ৯০৭৯)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! গভীর মনযোগ দিন! ইসলামের প্রাথমিক যুগ কতইনা সুন্দর ও আলোকিত ছিল যে, যখন মুসলমানরা তাকওয়া ও পরহেযগারীর মূর্ত প্রতীক ছিলো। যে আযান শুনতেই সমস্ত কাজ ছেড়ে দিয়ে নামাযের জন্য উঠে দাঁড়িয়ে যেতেন। ঐ সমস্ত বুযুর্গরা হালাল উপার্জনের জন্য ব্যবসাতো করতেন কিন্তু আমানতের খিয়ানত, মিথ্যা, ও প্রতারনা ইত্যাদি থেকে নিজেকে নিজে বাঁচিয়ে রাখতেন। এই জন্য আমাদের উচিৎ আমরাও আমাদের বুযুর্গানে দ্বীনের পদাঙ্ক অনুসরন করে চলে নামাযের সময় সমস্ত কাজ ছেড়ে দিয়ে প্রথমে নামায আদায় করে এবং শরয়ী নিয়ম কানুন অনুসারে ব্যবসা করা।
আসুন! হাদীসে পাকের আলোকে এই কথার বৈধতা নিই, যে ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যবসার কি রীতিনীতি ও এক সফল ব্যবসায়ীর মধ্যে কি কি গুনাবলী হওয়া উচিৎ। যেমনিভাবে-