Book Name:Maa Ki Dua Ka Asar

    আমার এই ঘটনায় সবাই অত্যন্ত বিস্মিত হলো এবং তারা পরস্পর পরামর্শ করে তাদের পাদ্রীকে (ধর্মীয় নেতাকে) ডেকে সব ঘটনা সবিস্তারে ব্যক্ত করলো পাদ্রী সমস্ত ঘটনার শুনার পর আমাকে জিজ্ঞাসা করলো: তোমার মা কি জীবিত? বললাম: হ্যাঁ আমার উত্তর শোনার পর পাদ্রী তাদের দিকে ফিরে বললো: আল্লাহ পাক তার মায়ের দোয়া কবুল করেছেন সিপাহী বললো: যেখানে আল্লাহ পাক তোমাকে মুক্ত করে দিয়েছেন সেখানে আমরা কিভাবে তোমাকে শিখল দিয়ে আটকাতে পারি? একথা বলে রোমীয়রা আমাকে মুক্ত করে দিলো এবং আমাকে মুসলমানদের সাথে মিলিয়ে দিলো (আর এভাবে মায়ের দোয়া ইবনে মুখাল্লাদ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর বরকতে যুবকটি মুক্তি লাভ করলো)

(উয়ুনুল হিকায়াত, ১২৯ নং কাহিনী, ১৭০ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

    سُبْحٰنَ الله! আপনারা শুনলেন তো! আল্লাহ পাক মায়ের দোয়ায় কিরূপ প্রভাব রেখেছেন যে, মা যখন তার সন্তানের জন্য দোয়া করেন তখন রব তায়ালা তার উঠানো হাতের সম্মান রাখেন এবং সন্তানের জন্য তার দোয়া কবুল করে নেন, এমনকি মায়ের অন্তর থেকে বের হওয়া দোয়ার বরকতে আল্লাহ পাক সন্তান থেকে বিপদাপদ এবং পরীক্ষাকে দূর করে দেন। আর কতইনা সৌভাগ্যবান সেই লোকেরা, যাদের পিতামাতা জীবিত এবং তাদের উপর সন্তুষ্ট আর কিরূপ সৌভাগ্যবান ঐ সন্তান, যে তার পিতামাতার সহায় হয়, তাদের সেবা করে, তাদের দোয়া নেয় এবং আল্লাহ পাকর সন্তুষ্টির অধিকারী হয়, সুতরাং যদি আমরা চাই যে, আল্লাহ পাক আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকুক, রাসূলে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমাদের প্রতি খুশি হয়ে যাক, আমাদের পিতামাতা আমাদের জন্যও দোয়া করুক, তবে আমাদের উচিৎ আমাদের পিতামাতাকে গুরুত্ব দেয়া, তাদের অনুগ্রহকে স্মরণ রাখা, তাদের স্বভাব বিরোধী কথা বলা থেকে বিরত থাকা, সব কিছুতেই তাদের খেয়াল রাখা, তাদের সাথে সদাচরণ করা, তাদের জায়িয প্রয়োজনাদী পূরণ করা, তাদের সকল জায়িয আদেশ পালন করা, বিশেষ করে যখন পিতামাতা বৃদ্ধ হয়ে যায়, এসময় তাদের সন্তানের সহানুভুতির অনেক বেশী প্রয়োজন হয়ে থাকে, কেননা বৃদ্ধ বয়সে তাদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অক্ষম হয়ে যায়, শরীরে রোগ ভর করে থাকে এবং আপনও পর হয়ে যায়। পিতামাতার বার্ধক্য মানুষকে পরীক্ষায় ফেলে দেয়, অনেক সময় পিতামাতা বার্ধক্যে