Book Name:Maa Ki Dua Ka Asar

কোন সম্পদ নাই এবং সেই ঘরটি আমি বিক্রিও করতে পারবো না, সুতরাং আপনি ক্ষমতাসীন কাউকে বলে দিন যে, ফিদিয়া দিয়ে আমার পুত্রকে মুক্ত করিয়ে আনুক, কেননা এখন নাতো আমার দিনে শান্তি লাগছে, না রাতে ঘুম আসছে তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বৃদ্ধা মাকে শান্তনা দিয়ে বললেন: মুহতারামা! আপনি যান! আমি আপনার সমস্যাটি সমাধান করার চেষ্টা করছি বর্ণনাকারী বলছেন: যখন বৃদ্ধাটি সেখান থেকে চলে গেলেন তখন তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ মাথা নিচের দিকে দিয়ে বসে গেলেন এবং তাঁর মোবারক ঠোঁটগুলো নড়ে উঠল (যেনো কিছু পাঠ করছিলেন)। কিছুক্ষণ পর সেই বৃদ্ধা মহিলাটি তার যুবক পুত্রকে সাথে নিয়ে তাঁর খেদমতে উপস্থিত হলেন এবং তাঁকে দোয়ায় দোয়া দিয়ে বললেন: (اَلْحَمْدُ لِلّٰه) আমার পুত্র নিরাপত্তার সহিত ফিরে আসলো এবং সে আপনার দরাবরে তাঁর সফরনামাও বর্ণনা করবে

    পুত্র বললো: আমি বন্দিদের একটি দলের সাথে রোমের বাদশাহের অধীনে বন্দি ছিলাম, তার অধীনে অনেক বাগান ছিলো, সে প্রতিদিন আমাকে তার বাগানে (Gardens) কাজ করার জন্য পাঠাতো এবং সন্ধ্যায় আবারো জেল খানায় ঢুকিয়ে দিতো একদিন আমরা মাগরীবের পর (বাগানে) কাজ করে জেলখানার দিকে ফিরছিলাম, তখন হঠাৎ আমার পায়ে বাঁধা শক্ত শিকল আপনা-আপনি খুলে গিয়ে মাটিতে পড়ে গেলো (বর্ণনাকারী বলেন যে) যুবকটি পায়ের শিকল খুলে যাওয়ার যে দিন-যে সময় শিকল ভেঙ্গে যাওয়া সম্পর্কে বলেছিলো, তা সেই দিনই ছিলো যেইদিন বৃদ্ধা হযরত ইবনে মুখাল্লাদ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর দরবারে দোয়ার জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন সিপাহীরা তা আমাকে (অর্থাৎ বৃদ্ধা মহিলার সন্তানকে) বললো: তুমি কি শিকল ছিঁড়েছো? আমি বললাম: না! তা আপনা-আপনি আমার পা থেকে খুলে পরে গেছে যুবকের এই কথা শুনে সিপাহীরা বিস্মিত হয়ে গেলো এবং তারা গিয়ে তাদের অফিসারকে বললো, সেও হতবাক হয়ে গেলো এবং সে তৎক্ষণাৎ একজন কামার ডেকে বললো: এই যুবকটিকে লোহার শিকল দ্বারা বেঁধে দাও! কামারটি আমাকে শিকল পরিয়ে দিলো, এবার আমি কয়েক কদম দিতে না দিতেই তাও আমার পা থেকে খুলে পরে গেলো