Book Name:Maa Ki Dua Ka Asar

তর্ক করা কিংবা বেয়াদবীর সাথে চোখ রাঙ্গিয়ে কথা বলা এসব কিছু হারাম এবং আল্লাহ পাকের অবাধ্য হয়ে সন্তানের এভাবে পিতামাতার মধ্যে কারো পক্ষ অবলম্বন করা কখনো জায়িয নেই তাঁরা উভয়েই তার জন্য জান্নাত জাহান্নাম, যাকেই কষ্ট দিক না কেনো জাহান্নামের উপযুক্ত হয়ে যাবে (وَالْعِیَاذُ بِاللهِ تَعَالٰی) আল্লাহ পাকের অবাধ্যতার ব্যাপারে কারো আনুগত্যতা বৈধ নয়, যেমন; মা চায় যে, সন্তান তার পিতাকে কষ্ট প্রদান করুক আর যদি সন্তান না শুনে অর্থাৎ পিতার উপর কঠোরতা প্রদর্শন করতে রাজি না হয় তবে অসন্তুষ্ট হয়ে যাবে, এমতাবস্থায় মা অসন্তুষ্ট হোক তবুও কখনো বিষয়ে মায়ের কথা শুনবে না, অনুরূপভাবে মায়ের ব্যাপারেও পিতার কথা শুনবে না ওলামায়ে কিরামরা এভাবে ভাগ করেছেন যে, খিদমতের ব্যাপারে মা প্রাধান্য পাবে এবং সম্মানের ব্যাপারে পিতা বেশী প্রাধান্য পাবে, কেননা তিনি তার মায়েরও শাসক মুনিব (সামুদ্রিক গুম্বদ, ২৪ পৃষ্ঠা)

পিতামাতা দাড়ি মুন্ডানোর আদেশ দিলে তা শুনবে না

    (শায়খে তরিকত, আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ বলেন:) বুঝা গেলো পিতামাতা যদি কোন না জায়িয বিষয়ের আদেশ দেয়, তবে তা পালন করবেন না যদি নাজায়িয বিষয়ে তাঁদের কথার অনুসরণ করেন তবে গুনাহগার সাব্যস্ত হবেন, উদাহরণস্বরূপ পিতামাতা মিথ্যা বলতে আদেশ দিলো কিংবা দাড়ি মুন্ডন করা বা এক মুষ্টি থেকে ছোট করতে বললো, তবে তাঁদের এসব কথা কখনো পালন করবেন না, চাই তাঁরা যতই অসন্তুষ্ট হোক না কেন, আপনি নাফরমান সাব্যস্ত হবেন না, তবে যদি মেনে নেন, তবে আল্লাহ পাকের অবাধ্য অবশ্যই সাব্যস্ত হবেন অনুরূপভাবে যদি পিতা মাতার মধ্যে তালাক হয়ে যায়, তবে এখন মা লাখো কান্নাকাটি করে বললো যে, দুধের হক ক্ষমা করবোনা এবং আদেশ দেয় তোমার পিতার সাথে দেখা করবে না, এরূপ আদেশ পালন করবে না, পিতার সাথে দেখা করতে হবে এবং তাঁর খিদমত করতে হবে, কেননা তারা পরস্পর যদিও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তবুও সন্তানের সম্পর্ক পূর্বের ন্যায় অবশিষ্ট থাকবে, সন্তানের উপর উভয়ের হকসমূহ বহাল থাকবে

(সামুদ্রিক গুম্বদ, ২৫ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد